hazirbiriani|হাজীরবিরিয়নী

হাজীর বিরিয়ানি
হাজীর বিরিয়ানী,recipeinbangla
হাজীর বিরিয়ানী,recipeinbangla

ঢাকায় থাকেন কিংবা গ্রামে থাকেন পুরান ঢাকার হাজীর বিরিযানীর নাম শুনেন নি তা কি করে হয়! হাজীর বিরিয়ানী নাম শুনলেই মনে হবে এখনি খেয়ে আসি। সবার পক্ষে  তো আর ঢাকায় গিয়ে হাজীর বিরিয়ানী খাওয়া সম্ভব নয়। উফঃ হাজীর বিরিয়ানী নিয়ে যদি কেউ বেড়াতে আসতো কতইনা ভাল হতো। তবে এই হাজীর বিরিয়ানী যদি আজ বাড়ীতেই রান্না হয়ে যায় তাহলেতো কথাই নেই।
হাজীর বিরিয়ানী  রেসিপি আজ আমি আপনাদের উপহার দিব। আজ মাকে কিংবা স্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন। আর আমার রেসিপি টা দিয়ে তাদেরকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। এমনকি আপনি নিজেই রান্না করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। গৃহিনীরা রেসিপি টা কাজে লাগিয়ে আজ স্বামীকে চমকে দিতে পারেন। আপনার প্রিয়জনকে খুশি করতে রেসিপিটা ব্যবহার করুন। গ্যারান্টি দিচ্ছি আজকে মুখে রুচি আসবেই। ভাল লাগলে অনরোধ থাকলো বন্ধুকে শেয়ার করবেন। অবশ্যই লাইক কমেন্ট করতে ভুলবেন না।



উপকরণ:
খাসির মাংস ২ কেজি,
পোলাওর চাল ১ কেজি,
পেঁয়াজ কুঁচি ১/২ কেজি,
আদা ১০০ গ্রাম,
রসুন ৫০ গ্রাম,
কাঁচা মরিচ ১২৫ গ্রাম,
তরল দুধ ১/৪ কেজি,
টক দই ১/৪ কেজি,
এলাচি ও দারুচিনি ১০ গ্রাম করে,
কাঠবাদাম ১২৫গ্রাম,
কিশমিশ ৬০ গ্রাম,
লবণ ৭০ গ্রাম অথবা স্বাধমতো
তেল ৮০০ গ্রাম
তেজপাতা কয়েকটা।

প্রণালি:
রান্নার জন্য বড় পাত্র নির্বাচন করুন। মাংস ছোট ছোট টুকরা করে ধুয়ে নিন। চাল ভিজিয়ে রাখুন।
রান্নার পাত্রে তেল ঢেলে গরম করে নিন। এবার মোট পেঁয়াজ কুচির তিন ভাগের এক ভাগ তেলে দিয়ে নাড়ুন।
কিছুক্ষণ পর আদা ও রসুন বাটা দিয়ে নাড়ুন। মসলা নাড়তে নাড়তে অনেকটা বুন্দিয়ার মতো দানা হয়ে এলে
বাকি পেঁয়াজ দিয়ে আবার নাড়ুন। এবার মাংস ঢেলে দিন। সেই সঙ্গে টক দই, দুধ, এলাচি, দারুচিনি, মরিচ,
কাঠবাদাম, তেজপাতা, লবণ দিয়ে দিয়ে দিন। এই সময়ে মাংসটা ভালো করে নাড়তে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে
একটা সুন্দর ঘ্রাণ ছড়াবে। এবার মাংসের পাত্রে পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে। প্রতি গ্লাস চালের জন্য চার গ্লাস পানি
হিসেব করে নিলেই চলবে। পানিটা ফুটে এলে ভিজিয়ে রাখার পর নরম হয়ে আসা চাল দিয়ে দিন। এবার কিছুক্ষণ
নেড়ে নিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দমে দিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর পাত্রের ঢাকনা খুলে পুরো চালটা উল্টেপাল্টে দিন।
তারপর আবার দমে দিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর চাল ফুটে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন।


Comments